রুদ্রবাবুর ফটো শিকার
এক তরফা সৌজন্য রুদ্রবাবু পছন্দ করেন না মোটেই। ওনার তরুণ বয়েসে কেউ হাসিমুখে তাকালে উনিও হাসি ফিরিয়ে দিতেন। রাগ করে কথা বললেও প্রতিক্রিয়া সঙ্গে সঙ্গেই। আমরা যারা ওনার ধারে কাছের লোক তারা কবে থেকেই টের পেয়ে সাবধানে থাকি। ওনাকে যথোচিত গুরুত্ব না দিলে চলবে কেন? হাসিখুশী একটা ব্যাপারে অবশ্য উনি একটু অস্স্তিতেই কাটাচ্ছিলেন এত দিন। সেই ছোটবেলা থেকেই দাদাই-তাই,দাদু-দিদা আর বাবা-মা যে যখন সুযোগ পেয়েছে ওনার ছবি তুলেছে ইচ্ছামত। ইচ্ছা থাকলেও পাল্টা কিছু করে ওঠতে পারেন নি - ক্যামেরা পাবেন কোথায়? উপার্জন ও নেই যে কোনো দোকান থেকে কিনে নেবেন। রুদ্ররূপে এবারে কুইন্সটাউনে বেড়াতে গিয়ে সুযোগ পেলেন। বাবার স্টিল ক্যামেরা আর তাইয়ের নীল ক্যামেরা দুটোতেই উনি হাত পাকালেন। এবারে আর দেরী করা নয়। ফটো শিকারী প্রথমেই দাঁড় করালেন তাই আর দাদাইকে। ওয়াকাটাপু লেকের পারে। তখন টিপ টিপ বৃষ্টি। কিন্ত তাতে রুদ্রবাবু দমেন নি - ছাতা মাথায় দিয়ে দাঁড়ালেন তাই-দাদাই। রুদ্রবাবু বললেন - হাসো। সে হুকুম অমান্য করে কার সাধ্যি ? উঠে গেল প্রথম তোলা ছবি । তাই আর দা...