Posts

My Dear Santa, You must have started your journey to distribute gifts to your children all over the world. It is sure to be a tedious journey. The routes are complicated and long. You are also not getting younger. I like to share some ideas to improve the quality of your movement. As I understand you are still using your dated sledge drawn by Rein Deer. This is high time that you go for some alternative mode. Firstly, the Rein Deer are endangered species. They should be left on their own for the sake of preservation. Next, yours is one of the ancient mode of transports. You should take assistance of carts powered by solar batteries. They need minimum maintenance. The batteries are charged through sun rays which is available aplenty. I thought this time I would better send you a  message through Baba's cell phone and come to know that you do not have one. I would further suggest you to buy a cell phone. Trust me it is really useful. I hope you shall considerations to my propo
Image
আমার দাদা-রামদাস চক্রবর্তী  ন' জন ভাই। ডাক নাম দুজনের । জ্যেষ্ঠ আর সর্বকনিষ্ঠ। বড় রা দাদাকে ডাকতেন " খোকা" আর দাদা সবথেকে ছোট ভাইয়ের নাম দিয়েছিলেন গদাই। মাঝের যাদের ডাক নাম মনে হত তারা মুল নামের ই রকম ফের। যেমন শিব দাস শিবু , দ্বিজদাস দ্বিজু বা বীর দাস বীরু। আমার ও দিদির তৈরি একটি নাম আছে। সতু। তবে চলন সীমিত। দাদার কাঁধে চেপে গদাই এর বাজারে বা দাদার বন্ধু-বান্ধবের বাড়ী যাওয়া আমার মনে আছে। দাদা আমার থেকে ১৬ বছরের বড়। হয়ত সে সুযোগ আমার ও কোন কালে হয়েছে। দিদি বলতে পারবেন। তবে দাদা যে , ১৯৫৫ সালের শুরুর দিকে আমাকে আর সোনাদাকে নিয়ে কালীঘাট ওরিয়েন্টাল স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। সেটা দিব্যি মনে আছে। সকাল-সকাল দিদি আমাদের মুখ হাত ধুইয়ে হাফ-শার্ট, তখন হাউই শার্ট নাম ছিল, পরিয়ে দিল । দাদা যাবার পথে আমাদের দু জনকে সদানন্দ রোডের ভ্যারাটি স্টোরস থেকে শুধু পেন্সিলে লেখা যায় এমন খাতা আর পেন্সিল কিনে নিয়ে হেডমাস্টার মশাই দেবেন বাবুর কাছে সরাসরি নিয়ে গেলেন। দেবেন বাবু সম্ভবতঃ পূর্ব-বঙ্গের পালং এ দাদার শিক্ষক ছিলেন। দেশ ভাগের পর এখানে। প্রাক্তন ছাত্রকে দেখে অনেক খবর নিলেন। আমরা

Benu

Image
Dear Dadai, You know what a flute is. It is a musical instrument which when played may generate beautiful tunes and sometimes mesmerize the listeners. In our ancient Indian language, Sanskrit, from where your mother tongue Bengali was derived, the flute is called Benu. There is a marked different though. Flutes in Western Countries are mostly metallic. But here in India it is generally made processing fine Bamboo Sticks.So sounds are different and Bamboo flutes are more melodious. It has the same mesmerizing power, if not more. Afterwards, many a Bengali poets and novelist adopted the word Benu and used it in their writings.Benu is also named Banshi in colloquial Bengali. I am about to introduce you to one Lady who was named Benu. Trust me, the name was very appropriate. She could spend a very short span of active life among her own people but she created tunes even during her toughest times. Those tunes we still cherish and remember her through them. No.She was neither a music

দিদির বিয়ে

Image
১৯৫৬ সাল।আমি ক্লাস থ্রী তে উঠে গিয়ে নিজেকে বেশ বড় মনে করছি।আমাদের কালীঘাটের বাড়ীতে একজন সৌম্য দর্শন ভদ্রলোক এলেন বাবার কাছে। বাবা, মা এবং দাদার সাথে আলাপ করালেন । বাবা ওঁদের বাড়ী র গৃহ চিকিৎসক । ওঁকে দেখেই দিদি আর আমরা যারা দিদির বিশেষ অনুগত ভাই এবং ছোড়দি ছাদের সিঁড়ি র বাঁকে আত্মগোপন করেছি । দিদির তেমনি নির্দেশ । দিদি মাঝে মাঝেই উঁকি দিচ্ছিল নীচে। উদ্দেশ্য কি কথা বার্তা হচ্ছে তাঁর হদিশ করা। আমরা সাত হাত জলে। এবার দাদা উপরে এলেন দিদি কে নিয়ে যেতে। দিদি অরুণ বর্ণ মুখে মাথা নীচু করে দাদার সঙ্গে বাবার ঘরে ঢুকে গেল। থ্রী র আমি আর ফাইভের সোনাদা কিছু না বুঝে মুখ চাওয়া চাওয়ি করছি । ছোড়দি কিন্ত সিঁড়ি দিয়ে নেমে বাবার ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েছে । সে ও থ্রী , কিন্ত মহিলা তো ! ঔৎসুক্য অনেক বেশী। ছোড়দি ই এসে খবর দিল যে দিদির বিয়ে ঠিক হয়েছে । যিনি এসেছেন তিনি পাত্রের বড়দাদা , নাম শ্রী চিত্ত রঞ্জন ভট্টাচার্য । তারপর থেকেই হুল্লোড়ের শুরু। দিদির প্রাত্যহিক কাজকর্ম যার বেশীর ভাগটাই আমাদের নিয়ে, তাতে ভাঁটা পড়ে গেল। আমাদের স্কুলে যাবার সময় তৈরী করে দেওয়া, আমাদের হোম টাস্ক দেখে দেওয়া, আমাদের কবিতা আবৃত্তি

গঙ্গার তীর

Image
কবিগুরু লিখেছিলেন , দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া , একটি ধানের শিসের উপরে একটি শিশির বিন্দু। এটা আনেক টাই বিনয় । উনি যে গভীর অন্তর দৃষ্টি তে   বাংলার শিশির বিন্দু বা ধানের শিস লক্ষ্য করেছেন, খুব বেশি জন তা পারেন নি। তবে আমি তো নিতান্তই লোহাকাটা, ধানের শিসের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও শিশির বিন্দু দেখে উঠতে পারিনি। দীর্ঘ কাল সোদপুরে বাস করেছি। ব্যারাকপুর বেশী দূর নয় । গেছি ও। তবে কাজে, দেখার মতলবে নয়। বছর দুয়েক আগে বন্ধুবর আশোক ও শান্তা আমাদের নিয়ে গেল রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন স্কুলে। সেখান থেকে গান্ধীঘাটে। অনেক আগে গান্ধী ঘাটে এসেছিলাম। তখন আশেপাশে অনেক ফাঁকা জায়গা ছিল । এখন সেখানে দাঁড়িয়ে মালঞ্চ, WBTDC র ট্যুরিষ্ট লজ। একেবারেই গঙ্গা র পার ঘেঁসে।এই পথ ধরেই ভাগীরথী চলে গেছেন গঙ্গা সাগরে কপিল মুনির  আশ্রমে। মালঞ্চ " নম নম নম সুন্দরী মম জননী জন্মভুমি,   গঙ্গার তীর অতি সু-নিবিড় জীবন জুড়ালে তুমি"। মনে হল আসা চাই মালঞ্চে। সেই ভাবনা কাজে লাগাতে সময় লাগলো প্রায় দেড় বছর। গত আগষ্টের  ১৩ তারিখ  আমি সস্ত্রীক  এলাম মালঞ্চে। বাড়ি থেকে উবেরে শিয়ালদহ । শিয়া

স্বর্গ সন্ধানে

Image
গ্রামের সঙ্গে দেখা হবার  সুযোগ বিশেষ হয়নি কোনদিন ই ।   কালীঘাট  , যেখানে আমার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে , সেটা নিতান্তই জমজমাট শহরাঞ্চল। সেখানে  লোকের ভিড়ে গাছ নজরে পরে না। কোলাহলে পাখীর ডাক চাপা পড়ে।  সোদপুরে এককালে ছিলাম। তখনি মফঃস্বল টির নগরায়ন শুরু। পুকুর একের  পর এক ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বাসিন্দারা গর্বভরে বললেন Development আর পরিবেশবিদরা চিন্তিত হলেন। কিন্ত কালের যাত্রার ধ্বনি থামেনি।   এখন সেখানে বহুতল শপিং মল। মুড়ি -সিঙ্গারাকে তাড়িয়ে পিজা এসেছে। ফুলের গাছ দেখতে দূরবীণ লাগে।           বর্তমানে বাস ফ্ল্যাটে - বড়  রাস্তার দিকে তাকিয়ে। হর্নের আওয়াজ মধ্যরাতেও থাকে। তাই গ্রাম চাক্ষুষ করার বাসনা ছিল মনের গভীরে।  ২০১৫ সালের জানুয়ারী র মাঝামাঝি। শীত কমের দিকে । বন্ধুবর অশোক প্রস্তাব দিলেন হুগলী জেলার এক গ্রামে যাবার। সেটি তার মামাশ্বশুর বাড়ী , তবে বাসিন্দারা কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। বাড়ী দেখা শোনা করার লোকজন আছে।  আমাদের ছয় জনের দল। একটি টয়োটা ইনোভা তে রওনা দিলাম দিল্লী রোড বরাবর ।  অশোক পথ প্রদর্শক । দু  ঘন্টার পথ ।  চুঁচুড়া  স্টেশনে র রাস্তাকে ডাইনে রেখে আমরা বামপন্থী হতেই চারদিক কে
সতু ভাই য়ের আবোল তাবোল  মুখার্‌জী পাড়া লেন স্কুলে ভর্তি হবার আগের বছর একা পাড়ায় বেরোনো র সুযোগ হল। তবে চৌহদ্দি বেশী দূর নয়। সন্তূ দের রোয়াক আর দীপকদা দের বাড়ির রোয়াক । সন্তূ দের রোয়াক ছোঁয়া ছুঁইয়ি আর এক্কাদোক্কা খেলার জন্য ঠিক ঠাক হলে ও বল নিয়ে খেলার মত বড় ছিল না। দীপকদা দের বাড়ির রোয়াক ছিল লম্বায় অনেক টা। ক্রিকেট বা ছোট বল নিয়ে ফুটবল খেলার আদর্শ জায়গা। তবে মাঝে মাঝে ই " মাগো" মানে দীপকদা র ঠাকুমা র বিশ্রামের ব্যাঘাত ঘটে যেত । আমরা বন্ধুরা , মানে আমি, মুকুল, আর খোকন আউট হওয়া নিয়ে একমত হতাম ন া। যে যার মতন করে খেলার রুল বুক তৈরী করতাম। নিজেদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হতই। এদিকে নিষ্ঠাবতী মাগো স্নান-রান্না-খাওয়া সেরে যখন শুতেন, তখন আমরা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরেছি । আমাদের খেলা র সময় । বিরক্ত হলে মাগো বিশুদ্ধ বরিশালে র ভাষায় ধমক দিতেন। ফল ছত্র ভঙ্গ । আমরা আবার সন্তূ দের রোয়াক । এছাড়া ছিল রামেশ্বর বাবুর রক। সেটা আবার একদিক খোলা । বল চলে গেলে যেতো খোলা নরদমায় । তাতে আমাদের বিশেষ আপত্তি ছিল না। তবে মা টের পেলে স্নান করে বাড়ি ঢুকতে হত। সেই বয়সে " মাগো" ছিলেন আমার জীবনের প