আমরা? বিই কলেজের কিম্ভূত ......
সি কে -১৪ র দোরগোড়াতেই সিংহ মশাই । সুজিত্কুমার। ছিমছাম চেহারা। তবে স্বভাব -চরিত্র আগের মতই রাজোচিত। দেখেই পুরনো ঢং এ আমন্ত্রণ জানালেন। বল্লেন " মদীয় ভবনে আসুন " . দুর্ভাগা আমি। এ আমন্ত্রণ রাখতে পারিনি। তবে গরম কচুরির হাতছানি এড়ানো ? সেটা সম্ভব হলো কি? সাত তাড়াতাড়ি সিদ্ধার্থ আর অশোক কে ডেকে হাজির ঝুড়ি র সামনে। শুরু হলো ১০ ই জানুয়ারী র মচ্ছব।
সিংহ মশাই- শিকারে |
ধাড়ি গণ দেয় মন নিজ নিজ বাতে |
এদের সঙ্গেই তো দল বেঁধে ১৯৬৫ সালের জুলাই মাসের গোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলাম কলেজের 1st Lobby তে, ট্রাঙ্ক আর বেডিং নিয়ে। নিজের হোস্টেল আর ঘর দেখতে। এদের সঙ্গে ই সেই বেড়ে ওঠার বয়সে পাঁচ বছরের ঘরকন্না। সারিবেঁধে ড্রয়িং বোর্ড হাতে নিয়ে ক্লাসে যাওয়া প্রথমদিকে। সমবেত হয়ে mass cut করা। বোটানিক্যাল গার্ডেন - প্রথম সিগারেটে টান। তারপর সপ্তাহ শেষে ৫৫ নম্বর বাস। তার দেওয়ালে র কিছু কিছু আপ্তবাক্য এখনো মনে আছে। "No Knowledge Without College" বা " Money Loss is nothing Loss, Health Loss is Something Loss, Character Loss is everything Loss" . দুর্ভাগ্য বশত: উপদেশ কোনো কাজে লাগে নি। এই সম্মেলনে প্রায় সবার ই একই ধাঁতে র চরিত্তির। না হলে কি আর এমন কাক-চিল তাড়ানো হট্টগোল হয়?
মহিলারা হতবাক , চিল নেই , উধাও কাক |
জয় জয় শিব শংকর |
সঙ্গীত |
ফাজলামো |
এরপর প্রাজাপিতা ব্র্ম্হকুমারি সংস্থা র একটি দার্শনিক ভাষন।
আমরা সদলে বসলাম উপরতলায়। সেখানে পরস্পর কথা বলতেও বেশ জোর লাগছে। প্রসঙ্গ ? কামদা বাবুর ছাতা থেকে বোটানিকাল ঘুরে কলেজ কালের কত পুরনো কথা। তার মধ্যেই পরস্পরের পা টানাটানি।
পাঁচ দশক আগের Mr. BE ,এখন Fan Club এ উত্সাহী |
মহাগুরু স্বামী ত্পনানন্দ |
বাচিক শিল্প |
তারপর দ্বিপ্রাহরিক ভোজন। সেটা এতটাই ভুরিভোজন যে তারপর বসে থাকাটাই বিধেয়। তবে আয়োজকদের বিরাম নেই। তারা মিউজিকের তালে পাসিং দি বাক চালু করে কিছু পুরস্কার বিলিয়ে দিলেন।
ফেরার একটু তাড়া থাকায় শেষ অবধি থাকতে পারিনি। সুপ্রাকাশের গান শোনার সৌভাগ্য হয় নি। এ ছাড়া অমিতের সঙ্গে গলা মিলিয়ে হয়ে উঠতে পারিনি নূতন যৌবনেরই দূত। তা আর কি করা ? বাকি দিনটাকে মনে করেই জাবর কাটি।
এই কর্মকাণ্ডের আয়োজকদের তো ধন্যবাদ প্রাপ্য ই। ধন্যবাদ দিতে চাই উপস্থিত সবাই কে। তারা প্রানের টানে হাজির হয়েছে। কেউ এসেছে পুনে থেকে, কেউ বা দিল্লি। একজন তো সাত্সাগর পেরিয়ে আমেরিকা থেকে। অনেকেরই হয়তো শরীর সায় দিচ্ছে না। সত্তরের দল তো প্রায় সত্তর ছুঁয়েছে। তবু আসা চাই।
এই প্রানের টানের দীর্ঘজীবন কামনা করি।
বাসনা
পশ্চিমে হেলেছি আমরা
সাদা চুল জীর্ণ চামড়া।
কারো রক্তে চাপ ,কারো শর্করা ,
কারো বা কষ্টে চলাফেরা।
এ নিয়ে ভাবনা
কোনো কোনো দিন
তাকে তোলা থাক না।
তার চেয়ে যতক্ষণ যেরকম আছি ,
হুল্লোড় করেই বাঁচি।
সত্তরে পাস করে বেরিয়ে আসা ধাড়ি দের নামে একটা। ...............
( ছবি ধীমানের তোলা। সম্মতি না নিয়েই ব্যবহার করেছি। আশা করি ঝামেলা করবে না। )
Comments
with best wishes
h b goswami
তোমার লেখা পড়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালাম ।
খুব ভালো লাগলো - সুরজিত দাস CE 65-70.
তোমার লেখা পড়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালাম ।
খুব ভালো লাগলো - সুরজিত দাস CE 65-70.
লেখা পড়ে ভাল লেগেছে এটাই আমার বিরাট পাওয়া। পরের বার দেখা হবে। ভাল থাকিস।
সত্য
Satyor name akta HUOOOOOOOO!
Anek din bade khub moja hoyechhe. Tai likhte ichchha holo. Toder bhalo legechhe, ete khub bhalo laglo.