Posts

Showing posts from 2018

Benu

Image
Dear Dadai, You know what a flute is. It is a musical instrument which when played may generate beautiful tunes and sometimes mesmerize the listeners. In our ancient Indian language, Sanskrit, from where your mother tongue Bengali was derived, the flute is called Benu. There is a marked different though. Flutes in Western Countries are mostly metallic. But here in India it is generally made processing fine Bamboo Sticks.So sounds are different and Bamboo flutes are more melodious. It has the same mesmerizing power, if not more. Afterwards, many a Bengali poets and novelist adopted the word Benu and used it in their writings.Benu is also named Banshi in colloquial Bengali. I am about to introduce you to one Lady who was named Benu. Trust me, the name was very appropriate. She could spend a very short span of active life among her own people but she created tunes even during her toughest times. Those tunes we still cherish and remember her through them. No.She was neither a music

দিদির বিয়ে

Image
১৯৫৬ সাল।আমি ক্লাস থ্রী তে উঠে গিয়ে নিজেকে বেশ বড় মনে করছি।আমাদের কালীঘাটের বাড়ীতে একজন সৌম্য দর্শন ভদ্রলোক এলেন বাবার কাছে। বাবা, মা এবং দাদার সাথে আলাপ করালেন । বাবা ওঁদের বাড়ী র গৃহ চিকিৎসক । ওঁকে দেখেই দিদি আর আমরা যারা দিদির বিশেষ অনুগত ভাই এবং ছোড়দি ছাদের সিঁড়ি র বাঁকে আত্মগোপন করেছি । দিদির তেমনি নির্দেশ । দিদি মাঝে মাঝেই উঁকি দিচ্ছিল নীচে। উদ্দেশ্য কি কথা বার্তা হচ্ছে তাঁর হদিশ করা। আমরা সাত হাত জলে। এবার দাদা উপরে এলেন দিদি কে নিয়ে যেতে। দিদি অরুণ বর্ণ মুখে মাথা নীচু করে দাদার সঙ্গে বাবার ঘরে ঢুকে গেল। থ্রী র আমি আর ফাইভের সোনাদা কিছু না বুঝে মুখ চাওয়া চাওয়ি করছি । ছোড়দি কিন্ত সিঁড়ি দিয়ে নেমে বাবার ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েছে । সে ও থ্রী , কিন্ত মহিলা তো ! ঔৎসুক্য অনেক বেশী। ছোড়দি ই এসে খবর দিল যে দিদির বিয়ে ঠিক হয়েছে । যিনি এসেছেন তিনি পাত্রের বড়দাদা , নাম শ্রী চিত্ত রঞ্জন ভট্টাচার্য । তারপর থেকেই হুল্লোড়ের শুরু। দিদির প্রাত্যহিক কাজকর্ম যার বেশীর ভাগটাই আমাদের নিয়ে, তাতে ভাঁটা পড়ে গেল। আমাদের স্কুলে যাবার সময় তৈরী করে দেওয়া, আমাদের হোম টাস্ক দেখে দেওয়া, আমাদের কবিতা আবৃত্তি

গঙ্গার তীর

Image
কবিগুরু লিখেছিলেন , দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া , একটি ধানের শিসের উপরে একটি শিশির বিন্দু। এটা আনেক টাই বিনয় । উনি যে গভীর অন্তর দৃষ্টি তে   বাংলার শিশির বিন্দু বা ধানের শিস লক্ষ্য করেছেন, খুব বেশি জন তা পারেন নি। তবে আমি তো নিতান্তই লোহাকাটা, ধানের শিসের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও শিশির বিন্দু দেখে উঠতে পারিনি। দীর্ঘ কাল সোদপুরে বাস করেছি। ব্যারাকপুর বেশী দূর নয় । গেছি ও। তবে কাজে, দেখার মতলবে নয়। বছর দুয়েক আগে বন্ধুবর আশোক ও শান্তা আমাদের নিয়ে গেল রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন স্কুলে। সেখান থেকে গান্ধীঘাটে। অনেক আগে গান্ধী ঘাটে এসেছিলাম। তখন আশেপাশে অনেক ফাঁকা জায়গা ছিল । এখন সেখানে দাঁড়িয়ে মালঞ্চ, WBTDC র ট্যুরিষ্ট লজ। একেবারেই গঙ্গা র পার ঘেঁসে।এই পথ ধরেই ভাগীরথী চলে গেছেন গঙ্গা সাগরে কপিল মুনির  আশ্রমে। মালঞ্চ " নম নম নম সুন্দরী মম জননী জন্মভুমি,   গঙ্গার তীর অতি সু-নিবিড় জীবন জুড়ালে তুমি"। মনে হল আসা চাই মালঞ্চে। সেই ভাবনা কাজে লাগাতে সময় লাগলো প্রায় দেড় বছর। গত আগষ্টের  ১৩ তারিখ  আমি সস্ত্রীক  এলাম মালঞ্চে। বাড়ি থেকে উবেরে শিয়ালদহ । শিয়া

স্বর্গ সন্ধানে

Image
গ্রামের সঙ্গে দেখা হবার  সুযোগ বিশেষ হয়নি কোনদিন ই ।   কালীঘাট  , যেখানে আমার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে , সেটা নিতান্তই জমজমাট শহরাঞ্চল। সেখানে  লোকের ভিড়ে গাছ নজরে পরে না। কোলাহলে পাখীর ডাক চাপা পড়ে।  সোদপুরে এককালে ছিলাম। তখনি মফঃস্বল টির নগরায়ন শুরু। পুকুর একের  পর এক ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বাসিন্দারা গর্বভরে বললেন Development আর পরিবেশবিদরা চিন্তিত হলেন। কিন্ত কালের যাত্রার ধ্বনি থামেনি।   এখন সেখানে বহুতল শপিং মল। মুড়ি -সিঙ্গারাকে তাড়িয়ে পিজা এসেছে। ফুলের গাছ দেখতে দূরবীণ লাগে।           বর্তমানে বাস ফ্ল্যাটে - বড়  রাস্তার দিকে তাকিয়ে। হর্নের আওয়াজ মধ্যরাতেও থাকে। তাই গ্রাম চাক্ষুষ করার বাসনা ছিল মনের গভীরে।  ২০১৫ সালের জানুয়ারী র মাঝামাঝি। শীত কমের দিকে । বন্ধুবর অশোক প্রস্তাব দিলেন হুগলী জেলার এক গ্রামে যাবার। সেটি তার মামাশ্বশুর বাড়ী , তবে বাসিন্দারা কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। বাড়ী দেখা শোনা করার লোকজন আছে।  আমাদের ছয় জনের দল। একটি টয়োটা ইনোভা তে রওনা দিলাম দিল্লী রোড বরাবর ।  অশোক পথ প্রদর্শক । দু  ঘন্টার পথ ।  চুঁচুড়া  স্টেশনে র রাস্তাকে ডাইনে রেখে আমরা বামপন্থী হতেই চারদিক কে
সতু ভাই য়ের আবোল তাবোল  মুখার্‌জী পাড়া লেন স্কুলে ভর্তি হবার আগের বছর একা পাড়ায় বেরোনো র সুযোগ হল। তবে চৌহদ্দি বেশী দূর নয়। সন্তূ দের রোয়াক আর দীপকদা দের বাড়ির রোয়াক । সন্তূ দের রোয়াক ছোঁয়া ছুঁইয়ি আর এক্কাদোক্কা খেলার জন্য ঠিক ঠাক হলে ও বল নিয়ে খেলার মত বড় ছিল না। দীপকদা দের বাড়ির রোয়াক ছিল লম্বায় অনেক টা। ক্রিকেট বা ছোট বল নিয়ে ফুটবল খেলার আদর্শ জায়গা। তবে মাঝে মাঝে ই " মাগো" মানে দীপকদা র ঠাকুমা র বিশ্রামের ব্যাঘাত ঘটে যেত । আমরা বন্ধুরা , মানে আমি, মুকুল, আর খোকন আউট হওয়া নিয়ে একমত হতাম ন া। যে যার মতন করে খেলার রুল বুক তৈরী করতাম। নিজেদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হতই। এদিকে নিষ্ঠাবতী মাগো স্নান-রান্না-খাওয়া সেরে যখন শুতেন, তখন আমরা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরেছি । আমাদের খেলা র সময় । বিরক্ত হলে মাগো বিশুদ্ধ বরিশালে র ভাষায় ধমক দিতেন। ফল ছত্র ভঙ্গ । আমরা আবার সন্তূ দের রোয়াক । এছাড়া ছিল রামেশ্বর বাবুর রক। সেটা আবার একদিক খোলা । বল চলে গেলে যেতো খোলা নরদমায় । তাতে আমাদের বিশেষ আপত্তি ছিল না। তবে মা টের পেলে স্নান করে বাড়ি ঢুকতে হত। সেই বয়সে " মাগো" ছিলেন আমার জীবনের প
সতু ভাইয়ের আবোল  মুখা র্‌জী পাড়া লেন নামটি বেশ লম্বা হলে কি হবে, রাস্তা দীর্ঘ নয় মোটেই। মেরে কেটে সাত শো মিটার। চওড়াও মানান সই।নেপাল ভট্টাচার্‌জী স্ট্রীট থেকে ছোট গাড়ি একশো মিটার ঢুকে জামাইয়ের মাঠে দাঁড়ায়। তারপর হেঁটে গিয়ে ঈশ্বর গাঙ্গুলী স্ট্রীট ।  এটুকুই আমার পাড়া। আমার বাল্যের খেলাঘর আর   বয়ঃসন্ধির উপবন। বন বলাটা নিতান্তই বাহুল্য। খুশীদের বাড়ির গায়ে লাগানো প্রাচীন আমগাছ ছাড়া রাস্তাতে কোন সবুজ নেই। তবে কিনা কবি সুভাষ বলেছেন ফুল না ফুটলেও বসন্ত। তাই গৌরবে বহুবচন আর কি । পঞ্চাশের দশকে আমি যে পাড়ায় চলাফেরা করেছি তার বুক স্লেট পাথরে্র বড় বড় বর্গাকার টুকরো দিয়ে বাঁধানো। গলির প্রতি কোণে র বাড়ির গায়ে গ্যাসবাতি। আমাদের বাড়ির গায়ে একটা ছিল আর তার পরেই বাঁকের মুখে হাবুদার বাড়ির পাশেই আর একটা। সন্ধ্যা র আগে আগেই একজনের নিত্য আসা যাওয়া। পরনে খাটো ধুতি আর গায়ে ফতুয়া। কাঁধে বাঁশের মই। ক্ষিপ্র গতিতে মই বেয়ে উঠে মান্টেল পালটে দেশলাই দিয়ে আলো জ্বালিয়ে একই গতিতে নেমে আসতেন উনি। পাড়া আবছা সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠতো। পাথর বিছানো রাস্তা তে মাঝে মাঝে ছিল হাইড্রান্ট । শেষ রাতে
সতু ভাইয়ের  আবোল তাবোল  সতু ভাইয়ের কৈফিয়ত ক্লাস  এ ভর্তি  করার জন্য ছোড়দা নিয়ে গেলেন চেতলা স্কুলে। আমাকে একটাই প্রশ্ন করলেন স্যার। আমার নামের অর্থ কি? সত্যদাস নাম আমার কখনই পছন্দের নয়। অভিভাবকরা নির্বিচারে নামের সঙ্গে দাস যোগ করে আমাদের দাস প্রথা র শিকার বানিয়েছেন। প্রতিবাদ করলে বাড়িতে দু-চার ঘা প্রাপ্তির সম্ভাবনা ।  তাই নিশ্চুপ থাকাই সাস্থ্য সম্মত মনে হয়েছে । হতে পারে “ সত্য “ খুবই মহান। তাই বলে  আমি কারো দাস  হতে রাজী নই। চুপ করে রইলাম । স্যার বললেন , আরে বলো,বলো, ভয় কি? ছোড়দা চোখ পাকালেন। আমি চুপ।  স্কুলে ভর্তি অবিশ্যি আটকায় নি। হাজার হোক, ডাক্তার বাবুর ছেলে। আমার মৌন প্রতিবাদ  কোন কাজে আসেনি। সত্যদাস আমার স্কুল, কলেজ, চাকরী ও সামাজিক জীবনে আমার পেছন ছাড়ে নি। বাড়ী তে ডাক নামের ও চল ছিল না। তবে কেন জানিনা, আমার দিদি,যাঁর কাছে আমার প্রথম অক্ষর শিক্ষা, আমাকে আগাগোড়া আমাকে “সতু” বলে ডেকে এসেছেন। সতু আমার ভারী আদরের নাম। এখনও দিদি  দেখা হলে যখন ও নামে ডাকেন বা ফোনে কথা বলেন, বয়স যেন একধাপে ছয় দশক পিছিয়ে যায়। আমার এই প্রাণের আরাম নামটি আমার ইচ্ছে থাকলেও বিশেষ প্রচার পায় নি

SATYANESWAN: JAPANESE TEMPLE

SATYANESWAN: JAPANESE TEMPLE

JAPANESE TEMPLE

Image
Long since I knew that there is an old Japanese temple near Rabindra Sarobar. But I was never sure of its exact location and therefore, opened the Google Map to discover that it is quite near to my place. On 11 th February, 2018, I thought of visiting there. Instead of visiting   Rabindra Sarobar via Lake Gardens flyover, I drove over the Dhakuria bridge, took an u-turn towards the right side and proceeded ahead keeping AMRI Hospital on my left , then took a right turn to reach the temple gate on my left on Kavi Bharati Sarani   erstwhile Lake Road. I could see from the road the golden peak of the milk white Pagoda, shining under the morning Sun. Unfortunately the gate was under lock and key from inside. I ask the people loitering on the street. They were neither aware of the timings nor interested. I had no option but to wait outside and tried to announce my presence shaking the gate a little. A gentle man came out of the temple and asked my intention. Once aware