Posts

Showing posts from March 11, 2018
সতু ভাইয়ের আবোল  মুখা র্‌জী পাড়া লেন নামটি বেশ লম্বা হলে কি হবে, রাস্তা দীর্ঘ নয় মোটেই। মেরে কেটে সাত শো মিটার। চওড়াও মানান সই।নেপাল ভট্টাচার্‌জী স্ট্রীট থেকে ছোট গাড়ি একশো মিটার ঢুকে জামাইয়ের মাঠে দাঁড়ায়। তারপর হেঁটে গিয়ে ঈশ্বর গাঙ্গুলী স্ট্রীট ।  এটুকুই আমার পাড়া। আমার বাল্যের খেলাঘর আর   বয়ঃসন্ধির উপবন। বন বলাটা নিতান্তই বাহুল্য। খুশীদের বাড়ির গায়ে লাগানো প্রাচীন আমগাছ ছাড়া রাস্তাতে কোন সবুজ নেই। তবে কিনা কবি সুভাষ বলেছেন ফুল না ফুটলেও বসন্ত। তাই গৌরবে বহুবচন আর কি । পঞ্চাশের দশকে আমি যে পাড়ায় চলাফেরা করেছি তার বুক স্লেট পাথরে্র বড় বড় বর্গাকার টুকরো দিয়ে বাঁধানো। গলির প্রতি কোণে র বাড়ির গায়ে গ্যাসবাতি। আমাদের বাড়ির গায়ে একটা ছিল আর তার পরেই বাঁকের মুখে হাবুদার বাড়ির পাশেই আর একটা। সন্ধ্যা র আগে আগেই একজনের নিত্য আসা যাওয়া। পরনে খাটো ধুতি আর গায়ে ফতুয়া। কাঁধে বাঁশের মই। ক্ষিপ্র গতিতে মই বেয়ে উঠে মান্টেল পালটে দেশলাই দিয়ে আলো জ্বালিয়ে একই গতিতে নেমে আসতেন উনি। পাড়া আবছা সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠতো। পাথর বিছানো রাস্তা তে মাঝে মাঝে ছিল হাইড্রান্ট । শেষ রাতে
সতু ভাইয়ের  আবোল তাবোল  সতু ভাইয়ের কৈফিয়ত ক্লাস  এ ভর্তি  করার জন্য ছোড়দা নিয়ে গেলেন চেতলা স্কুলে। আমাকে একটাই প্রশ্ন করলেন স্যার। আমার নামের অর্থ কি? সত্যদাস নাম আমার কখনই পছন্দের নয়। অভিভাবকরা নির্বিচারে নামের সঙ্গে দাস যোগ করে আমাদের দাস প্রথা র শিকার বানিয়েছেন। প্রতিবাদ করলে বাড়িতে দু-চার ঘা প্রাপ্তির সম্ভাবনা ।  তাই নিশ্চুপ থাকাই সাস্থ্য সম্মত মনে হয়েছে । হতে পারে “ সত্য “ খুবই মহান। তাই বলে  আমি কারো দাস  হতে রাজী নই। চুপ করে রইলাম । স্যার বললেন , আরে বলো,বলো, ভয় কি? ছোড়দা চোখ পাকালেন। আমি চুপ।  স্কুলে ভর্তি অবিশ্যি আটকায় নি। হাজার হোক, ডাক্তার বাবুর ছেলে। আমার মৌন প্রতিবাদ  কোন কাজে আসেনি। সত্যদাস আমার স্কুল, কলেজ, চাকরী ও সামাজিক জীবনে আমার পেছন ছাড়ে নি। বাড়ী তে ডাক নামের ও চল ছিল না। তবে কেন জানিনা, আমার দিদি,যাঁর কাছে আমার প্রথম অক্ষর শিক্ষা, আমাকে আগাগোড়া আমাকে “সতু” বলে ডেকে এসেছেন। সতু আমার ভারী আদরের নাম। এখনও দিদি  দেখা হলে যখন ও নামে ডাকেন বা ফোনে কথা বলেন, বয়স যেন একধাপে ছয় দশক পিছিয়ে যায়। আমার এই প্রাণের আরাম নামটি আমার ইচ্ছে থাকলেও বিশেষ প্রচার পায় নি